কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

— এর অনন্যসাধারণ উদ্যোগ —

asset 4
asset 4@4x
asset 3

— কিছু গুরুত্বপুর্ন তথ্য —

প্রত্যেক নারীর হাসিই একটি পরিবারের আলো। আর সেই হাসিকে অটুট রাখার জন্য প্রয়োজন সুস্থতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৭০,০০০ নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সংখ্যাটিও উদ্বেগজনক।
INT. Agency for Research on Cancer (GLOBOCAN)-এর ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে নতুন ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর সংখ্যা ছিল ১২,৯৮৯ জন, যার মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার ছিল প্রথম অবস্থানে। এছাড়া Lippincott Journals-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, প্রতি ১,০০,০০০ নারীর মধ্যে প্রায় ২২.৫ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি মাসে একবার Self Breast Examination (SBE) করলে এবং সময়মতো লক্ষণ শনাক্ত করতে পারলে, ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে তা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে সামাজিক লজ্জা ও সচেতনতার অভাবে অনেক নারী প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিতে লজ্জা পান।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, অক্টোবর মাস বিশ্বব্যাপী ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে, বিশ্বের সচেতন নারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে, বাংলাদেশের নারীদের মাঝে ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক শনাক্তকরণের গুরুত্ব তুলে ধরতে,
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের উদ্যোগে “আমি বিজয়িনী — কন্যা, জয়া, জননী। আমার হাতেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরাজয়” শীর্ষক Breast Cancer Awareness Camp শুরু হতে যাচ্ছে।
এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী নারীরা ডাক্তারদের কাছ থেকে সরাসরি Self Breast Examination (SBE) প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। একইসাথে, এই সচেতনতা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের ফেসবুক পেজে SBE-এর পদ্ধতি সম্বলিত একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
আমরা আন্তরিকভাবে চাই, দেশের প্রতিটি নারী ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হোন, নিয়মিত Self Breast Examination করুন, এবং প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা গ্রহণে সক্ষম হোন। ভবিষ্যতে, দেশের মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করে, তবে এ ধরনের নারী-স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির অন্তর্ভুক্ত করে দেশের প্রতিটি নারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেক সচেতন নারী কেবল নিজের জন্য নয়, বরং তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ ভবিষ্যতের আলো হয়ে উঠবেন। আমার সামনে উপস্থিত সকল সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই — আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও আপনাদের সঙ্গে নিয়ে দেশের নারীদের কল্যাণে আরও অর্থবহ ও গঠনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারব।